এবার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদের মধ্যে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাতজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে আলাদা সাত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন বলে সূত্রে জানা গেছে। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা সাত জনের জবানবন্দির আবেদন করেন।
আরও যাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, পিএসসির অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন।
এদিকে প্রশ্নফাসের ঘটনায় অপর গ্রেফতাররা হলেন- আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, বেকার যুবক লিটন সরকার।
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা করে। মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।